বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মেহেদী আবু কাওসার (২৬), জনি মোল্যা (৩১), রাজেস রবি দাস (৩০) ও রবিন মোল্যা (২৬) উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়।
এ সময় আসামিরা পুলিশের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন, মারমুখী হন কয়েকজন। এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি রাসেল শেখ (২৬) পলাতক রয়েছেন। তারা প্রত্যেকে শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা ও ভাড়াটিয়া।
এছাড়া বাদশা শেখ (২৬) নামে অপর আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তিনি রাজবাড়ী জেলা সদরের মজলিসপুর এলাকার মুরাদ শেখের ছেলে। ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটি ক্রয় করেছিলেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ইজিবাইক নিয়ে শহরে বের হন সালথা উপজেলার দেয়ালীকান্দা গ্রাম ও শহরের পশ্চিম খাবাসপুরের ভাড়াটিয়া শওকত মোল্যা। ওইদিন রাতে তিনি বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা খুঁজতে থাকেন। পরদিন সকালে শহরের গোয়ালচামট মোল্যাবাড়ি সড়কের শেষপ্রান্তে একটি ধানক্ষেতে শওকতের মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা। এ ঘটনার পরদিন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা আয়নাল মোল্যা।
মামলা দায়েরের পর তিনদিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। এরপর পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করেন এবং ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শামীম আক্তা
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি চৌধুরী জাহিদ হাসান খোকন বলেন, ‘আসামিরা ইজিবাইকটি ভাড়া করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরেন। এক পর্যায়ে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং হত্যাকাণ্ডটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।’
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট কর্তৃক মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেককে গলায় ফাঁসি ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।